সদ্য বিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৪ কোটি ডলার, যা গত ৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ ছাড়া গত আগস্টের তুলনায় রেমিট্যান্স কম এসেছে ২৫ শতাংশ।
রোববার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনের এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত আগস্টে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৪ কোটি ডলার।সেপ্টেম্বরে এসেছে ১৫৪ কোটি; যা গত মাসের তুলনায় ২৫ শতাংশ কম। আর চলতি অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৫৬৭ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ৫৪১ কোটি ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুমাসে (জুলাই ও আগস্ট) টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স আসে দেশে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও রেমিট্যান্সের সে ধারা অব্যাহত ছিল। ব্যাংকখাত সংশ্লিষ্টরা সেপ্টেম্বরেও দুই বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আশা করেছিলেন। তবে পরের সপ্তাহগুলোয় ধারাবাহিকতা কমে যাওয়ায় কমে যায় রেমিট্যান্স। অর্থাৎ প্রবাসী আয়ের প্রবাহ কমে যাওয়া আগের দুই মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স কমে যায় সেপ্টেম্বরে।
গত মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ ব্যাংকের মাধ্যমে ২৪ কোটি ৬২ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। আর বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১২৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার। একই সময়ে বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬১ লাখ ডলার এবং বিশেষায়িত এক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ৪১ ডলার।
সেপ্টেম্বরে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে (৩৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার)। এরপর সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ২৮ লাখ ডলার, আল-আরাফাহ ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৭২ লাখ, অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৫৬ লাখ এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৯২ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছে দেশে।
সম্প্রতি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার দুটি কারণ চিহ্নিত করা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির কারণে প্রবাসীদের জীবনযাত্রার ব্যায় বেড়েছে। এ ছাড়া বৈধ চ্যানেলের চেয়ে হুন্ডিকে প্রাধান্য দিয়ে টাকা পাঠাচ্ছে তারা। হুন্ডির মাধ্যমে ডলার প্রতি ৫-৬ টাকা বেশি পাওয়ায় এমনটা করছে প্রবাসীরা।
গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্সের জন্য ডলারের বিনিময় হার ১০৮ টাকা নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর থেকেই রেমিট্যান্সের প্রবাহ কমেছে বলে জানিয়েছে ব্যাংকাররা।